বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির ৩৭ জন নেতাকর্মী কারামুক্ত

ডেক্স রিপোর্ট : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা এম. ইলিয়াস আলীকে আওয়ামী দুঃশাসক কর্তৃক অপহরণের প্রতিবাদে এবং তাকে ফিরিয়ে পাবার দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়ে বর্তমান ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ দিন কারাভোগের পর উচ্চ এবং নিম্ন আদালত জামিন পেয়ে গতকাল সোমবার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেছেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন (ধলা মিয়া) সহ ৩৭ জন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপসি’তিতে কারাফটকে তাদেরকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এ সময় উপসি’ত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে কবির হোসেন (ধলা মিয়া) বলেন,  ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনা সরকার প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে জনরোষ, দুঃশাসন, দূর্নীতি ও ব্যর্থতাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার এবং সিলেটকে নেতৃত্ব শূণ্য করার হীন উদ্দেশ্যে একটি বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে জননেতা এম. ইলিয়াস আলীকে অপহরণ করে গুম করে। দেশে-বিদেশে জনগণ তীব্র আন্দোলন গড়ে তুললেও সরকারের টনক নড়ছে না। তিনি শেখ হাসিনার সরকারকে দেশ, জাতি, ধর্ম ও মানবতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জননেতা এম. ইলিয়াস আলীকে দ্রুত ফিরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান। তা নাহলে জনগণ কখনো তাদেরকে ক্ষমা করবে না এবং জনবিস্ফোরণে তাদের পালাবার পথ থাকবে না। তিনি গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তি, মিথ্যা মামলা ও চার্জশীট প্রত্যাহার এবং অন্যায় ও বে-আইনী পুলিশী হয়রানী বন্ধের আহবান জানান। এ সময় উপসি’ত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক ধর্ম সম্পাদক ও বিশ্বনাথ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব, জননেতা এম. ইলিয়াস আলীর একান- সহকারী ও সিলেট জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোঃ ময়নুল হক, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম রুহেল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আরিফ ইকবাল নেহাল, বালাগঞ্জ বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মুজিবুর রহমান, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক তোফায়েল আহমদ সুহেল, বিশ্বনাথ বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ফরিদ আহমদ, ধর্ম সম্পাদক মাওলানা এ.টি.এম নুর উদ্দিন, বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান ফজলু, আজাদ মিয়া মেম্বার, মনির মিয়া, আজাদুর রহমান আজাদ, ফয়জুল হক, কাচা মিয়া, সফিক মিয়া, নানু মিয়া, শাহীন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুস শহিদ, মহানগর ছাত্রদল নেতা অজূর্ন ঘোষ, চৌধুরী মোহাম্মদ সুহেল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আমিনুল হক বেলাল, খালেদুর রশিদ ঝলক, বিশ্বনাথ যুবদলের আহবায়ক নুর উদ্দিন, ছাত্রদলের আহবায়ক শামসুল ইসলাম, বিশ্বনাথ স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক আশিকুর রহমান রানা ও শফিকুর রহমান, এম. সি কলেজ ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাইয়ুম, বিশ্বনাথ যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবেদুর রহমান আছকির, লামাকাজি যুবদলের সাধারন সম্পাদক ওয়াতিউর রহমান আতিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, যুবদল নেতা ফারুক আহমদ,  সহ-সভাপতি সেবুল সরকার, নেছার আহমদ, বিশ্বনাথ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শামসুদ্দিন, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান, যুবদল নেতা কিনু খলিলি, ইজ্জ্বত আলী, ইকবাল, সফিক, আব্দুল কাদির সাজিদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মাহবুব আহমদ, ছাত্রদল নেতা রাসেল আহমদ লিংকন, মোজাহিদ মীম, তাজ উদ্দিন, শামীম, রাহেল প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ জননেতা এম. ইলিয়াস আলীকে সুস’ অবস’ায় ফেরত এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা আহবায়ক এবং মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট সামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ  জানান এবং অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন। পাশাপাশি গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দেরও মুক্তির দাবী জানান।  মুক্তি প্রাপ্ত নেতাকর্মীরা হলেন বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন ধলা মিয়া চেয়ারম্যান, বিএনপি নেতা তহুর উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন, মুহিবুর রহমান, হেলাল উদ্দিন মেম্বার, যুবদল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে মিজানুর রহমান, হাফিজ আব্দুল করিম, আমির উদ্দিন, শফিক মিয়া, আছকির আলী, মারফত উল্লাহ, লুৎফুর রহমান, আঙ্গুর আলী, হাশেম, শফিক উদ্দিন, মঈন উদ্দিন, আসগর আলী, সাদ্দাম, আক্রম আলী, শিপু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, আক্তার হোসেন, ফরিদ আলী, জাহের আলী, জুনায়েদ, আলাউদ্দিন, মিজান, আকবর আলী, সুহেল মিয়া, আবুল হোসেন, হুশিয়ার আলী, জমির আহমদ, আব্দুল কুদ্দুস, খসরু মিয়া।

Posted on জুন 18, 2012, in প্রেসরিলিজ, রাজনীতি, সিলেট. Bookmark the permalink. এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান.

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান